এইচএসসি: ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে ২৩ প্রতিষ্ঠানে চিঠি

এ বছর নারায়ণগঞ্জে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চেয়ে ২৩ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। এরমধ্যে শতভাগ অকৃতকার্য তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষক ঘাটতি, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহই এবারের খারাপ ফলাফলের মূল কারণ বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে, বিস্তারিত তদন্ত করে তা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
জেলার গড় পাসের হার নেমে এসেছে ৫৩ শতাংশে, যা গত বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ৩২১ জনে, যেখানে গত বছর ছিল ৯৪৫ জন।
পুরো জেলায় এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ১৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে এইচএসসিতে ২১ হাজার ৭৭৮ জন, আলিমে ৯১৩ জন এবং ভোকেশনাল শাখায় ৪৭৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ১২ হাজার ৪০০ জন।
৩ প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেনি
রূপগঞ্জ উপজেলার নব কিশলয় হাই স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ২৫ জন পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকে ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছেন এবং অর্ধেক আবার ইংরেজির পাশাপাশি আইসিটি বিষয়েও অকৃতকার্য হয়েছেন।
একই উপজেলার আব্দুল আজিজ মিয়া আয়েশা খাতুন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একমাত্র শিক্ষার্থীও ফেল করেছেন।
বন্দর উপজেলায় অবস্থিত আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকেশ্বরী মিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনজনই অকৃতকার্য হয়েছেন।
শতভাগ অকৃতকার্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেবল নব কিশলয় এমপিও-ভুক্ত।
এ বছর ফলাফল বিপর্যয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। তারা এর সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজতেও তৎপর হয়েছেন। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একটি সভাও হয়েছে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমান।
শতভাগ অকৃতকার্য তিনটির বাইরে আরও বিশটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
আতিকুর বলেন, “ফলাফল বিপর্যয়ে আমরা বেশ বিব্রত। বিগত বছরগুলোতেও এত খারাপ ফলাফল হয়নি। এবার অকৃতকার্য অধিকাংশেরই একটি বিষয় কমন- ইংরেজি। ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে কিছু বিষয় আইডেন্টিফাই হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে কাজ করা হবে এবং অবস্থার উন্নতির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেবো।”