ত্বকী হত্যায় শামীম ওসমান-অয়নকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ জড়িতদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ত্বকীর পিতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ত্বকী হত্যার ১৫২ মাস পূর্তির আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি জানান।
রফিউর রাব্বি বলেন, “সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থা র্যাব জানিয়েছে, ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ, অচিরেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। আমরা চাই এই অভিযোগপত্রে হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, ক্যাডার শাহ নিজামসহ হত্যায় জড়িত সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
তিনি অভিযোগ করেন, “২০১৪ সালের মার্চ মাসে র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল, তদন্ত শেষ ও অভিযোগপত্র প্রস্তুত। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারকে দেখে রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাফিয়াতন্ত্র।”
রফিউর রাব্বি বলেন, “ত্বকী হত্যা মামলায় আদালত থেকে ৯৮ বার সময় নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই শততম তারিখের আগেই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু ত্বকীর নয়—সাগর-রুনি, তনুসহ নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, মিঠু, বুলু প্রমুখ সকল হত্যার দ্রুত বিচার চাই। শেখ হাসিনা সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই বিচারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
রফিউর রাব্বি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমাদের আন্দোলন থামবে না। একযুগ ধরে আমরা ত্বকীর জন্য ন্যায়বিচার চাইছি, এখন সময় এসেছে হত্যাকারীদের আইনের মুখোমুখি করার।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মনি সুপান্থর, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দীনা তাজরিন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা জিয়াউল ইসলাম কাজল, সিপিবি জেলা সভাপতি শীবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, এনসিপির জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু ও সামাজিক সংগঠন ‘সমমনা’র সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।





































