আমি এখনো বিএনপির প্রার্থী: মাসুদুজ্জামান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে খানপুর বরফকল মাঠ এলাকা থেকে শুরু হয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে এ প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে আমরা ঘরে ঘরে মানুষের কাছে যাচ্ছি। এই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি কার্ড, ফার্মার্স কার্ড, নারীর অধিকার, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি—এই কর্মসূচির মাধ্যমে কীভাবে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ২৫ তারিখ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৮ বছর পর দেশে ফিরবেন—এই খবরে সারা বাংলাদেশ আজ কম্পমান। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরে জাতীয়তাবাদী দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ভবিষ্যতে সরকার গঠনের সুযোগ পেলে তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।”
মনোনয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমি বিষয়টিকে কোনো কোন্দল হিসেবে দেখছি না। হয়তো কোনো একটি ইস্যু তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে আমি এমন কোনো বার্তা পাইনি। আমি এখনো জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী এবং সেই হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রচারপত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শওকত হাশেম শকু, সুলতান আহমেদ, হান্নান সরকার, এনায়েত হোসেন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরুদ্দিন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শাখাওয়াত ইসলাম রানা, কৃষক দল সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন।
এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।





































