আমাদের অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছে: সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান অভিযোগ করেছেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতি অবজ্ঞা দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমরা নমিনেশন চেয়েছিলাম। দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দল প্রাথমিকভাবে কারো নাম প্রকাশ করেছে- সেটাকে যদি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা আমাদের প্রতি অন্যায় হবে। চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে পারি। কিন্তু সেই অপেক্ষাকেও আজ অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির এক জনসভায় তিনি এসব বক্তব্য রাখেন।
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, “আমরা কারো অবজ্ঞার শিকার হতে চাই না। আমরা কখনো দলের সঙ্গে বেইমানি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। চূড়ান্ত নমিনেশন যে পাবে- তার পক্ষেই আমরা থাকবো। কিন্তু আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা করবেন না।”
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দীর্ঘদিন রাজপথে সক্রিয় নেতাদের কাউকে মনোনয়ন দিলে দলের ভেতরে কোনো ধরনের সন্দেহ বা বিভক্তি তৈরি হতো না।
মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে সাখাওয়াত বলেন, “ধৈর্য হারাবেন না। আমাদেরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করবেন না। আমরা বিএনপির পরীক্ষিত নেতাকর্মী- রাজপথে ছিলাম, জেল খেটেছি। চূড়ান্ত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমরা একসঙ্গেই কাজ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের ভোটের অধিকার নিয়ে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত হচ্ছে। নির্বাচন দীর্ঘায়িত করতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, “যারা জেল-জুলুমের শিকার, তারা ন্যায় চান। নারায়ণগঞ্জে আমরা পরীক্ষিত সৈনিক। বিচ্ছিন্ন হলে কোনো সংগ্রাম সফল হবে না।”
শিল্পপতি আবু জাফর বাবুল বলেন, “আমি নির্যাতিত। আমার নামে ১০টি মামলা, দুদকের একাধিক মামলা, বাড়িতে হামলা হয়েছে। আজ যারা বড় বড় কথা বলেন, তাদের কয়জন এমন নির্যাতনের শিকার? কেউ একজন বলেছেন- মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন রক্ষায় তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে যাবেন। যদি আপনাদেরকে দিয়েই থাকে, তাহলে তাদের কাছে যাওয়ার দরকার কী? কারণ আপনারা জানেন- আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।”
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা দলের নেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা প্রমুখ।





































