‘বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র’

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ময়লার ভাগাড়, ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র এবং মাদকাসক্তদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দল বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
তরিকুল সুজন বলেন, “কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সংলগ্ন ড্রেনটিতে জমে থাকা নোংরা পানিতে ডেঙ্গু মশার প্রজনন হচ্ছে। একই সঙ্গে জরুরি বিভাগের পেছনে সাধারণ ও মেডিকেল বর্জ্য একসাথে ফেলে রাখা হয়েছে, যা পুরো এলাকাকে দুর্গন্ধময় করে তুলেছে। আবাসিক এলাকার পরিত্যক্ত ভবনগুলো এখন মাদকাসক্তদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। তারা দরজা-জানালা, বৈদ্যুতিক সুইচ এমনকি তার পর্যন্ত চুরি করে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়াশরুমগুলো অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা, অনেক বেসিন ব্যবহারযোগ্য নয়, পানির কল ভাঙা। এমনকি রোগীদের ব্যবহারের পানিও নিরাপদ নয়- বাধ্য হয়ে সবাই বাইরে থেকে বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহার করছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত বেড নেই; এক বেডে একাধিক রোগী রাখতে হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডও নেই।”
গণসংহতি নেতা অভিযোগ করে বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সিভিল সার্জনের আওতাধীন হলেও তাঁর কার্যকর তদারকি নেই। ৩১ বেড থেকে ৫০ বেডে উন্নীত হলেও জনবল ও চিকিৎসক বাড়েনি। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনুপস্থিত। মনে হয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোকে অকার্যকর করে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে লাভজনক অবস্থায় রাখতে চাইছে।”
পরিদর্শন দলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী মো. বিপ্লব খান, জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, গণসংহতি আন্দোলন বন্দর কমিটির সংগঠক ইমদাদ হোসেন এবং ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মৃধা প্রমুখ।