’পিআর শুভংকরের ফাঁকি, জনগণের ভোটেই সরকার গঠন করতে হবে’

নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ‘পিআর’ প্রক্রিয়াকে ‘শুভংকরের ফাঁকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকাল ৩টায় জেলা পরিষদ সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, জনগণের ভোট ছাড়া কোনো গোপন পদ্ধতিতে সরকার গঠন করলে তা স্বাধীনতার সঙ্গে প্রতারণা হবে।
জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, “কিছু দুষ্টু লোক রাজনীতিতে ঢুকে ভালো মানুষদের বিপদে ফেলছে ‘পিআর’ নামে একটি অজানা দাবির মাধ্যমে। আমরা ‘পিআর’ নামক কোনো ব্যক্তি বা পদ্ধতিকে চিনি না। আমরা চিনি চিরাচরিত ভোটব্যবস্থা— ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে, যে বেশি ভোট পাবে, সে-ই বিজয়ী হবে। ‘পিআর’ শুধু শুভংকরের ফাঁকি।”
তিনি আরও বলেন, “এই ‘পিআর’ দিয়ে আবার আমাদেরকে গোলামের জীবন দিতে চায়। হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা ও পরাধীনতার দিকে দেশকে ঠেলে দিতেই এমন প্রক্রিয়া আনা হচ্ছে। যারা 'পিআর'র পক্ষে আওয়াজ তুলছেন, তাদের বলছি— ভালো করে বোঝেন, এরপর কথা বলেন।”
তিনি সকল ডানপন্থী দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “২৪-এ যেভাবে আমরা একসাথে বিপ্লব করেছিলাম, তেমনি এবারও স্বাধীনতাকে পূর্ণ রূপ দিতে হলে একত্রে রাজপথে থাকতে হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে।”
দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক জাকির হোসাইন কাসেমী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান এবং মহানগর সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোনাওয়ার হোসাইন।
জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, “গত ১৫ বছর যারা রাজপথে ছিল না, আন্দোলনে অংশ নেয়নি, তাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তাদের কাজ একটাই— একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। তারপর তারা বিদায় নেবে, আর আমরা সংসদে বসে ঠিক করব 'পিআর' হবে কি না হবে।”
২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরাও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিই। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রেও যেতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী শাসন কেন্দ্র দখল করে দিনের ভোট রাতে দিয়েছে।”
শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “যিনি খেলা হবে বলে বাহাদুরি দেখান, তিনি কিন্তু মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছিলেন। যদি কেন্দ্র দখল না করত, তাহলে কাসেমীই জয়ী হতেন। এবারও ইনশাআল্লাহ তিনিই বিজয়ী হবেন।”