১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৩ মে ২০২৫

শ্রমিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

শ্রমিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

চট্টগ্রাম বাসদ নেতা আল কাদেরী জয়, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজউদ্দিনসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার সব শ্রমিক নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাসদ।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব। বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা কমিটির সদস্য এস.এম কাদির, বাসদ বর্ধিত ফোরামের সদস্য ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক প্রদীপ সরকার এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট মোড়ে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাসদ চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মিরাজউদ্দিন ও সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক রোকনকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হয়। এ ধরনের দমন-পীড়ন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের চরিত্রের প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।

তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সভাপতি সেলিম মাহমুদকেও গত ১৫ এপ্রিল রাতে ফতুল্লা এলাকা থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও রাতের আঁধারে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আন্দোলনের কারণে রবিনটেক্স কারখানার ২২ জন শ্রমিক গ্রেপ্তার হন। ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে এখনও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সকল গ্রেপ্তার ও হয়রানির উদ্দেশ্য হলো শ্রমিক ইউনিয়ন ধ্বংস করা এবং মালিকদের স্বার্থে শ্রমিকদের শোষণ অব্যাহত রাখা। সরকারের এই আচরণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গণতান্ত্রিক রূপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন গণবিরোধী এবং এটি বারবার বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হয়েছে।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সব গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতার নিঃশর্ত মুক্তি, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল ও শ্রমিক আন্দোলনে দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি জানানো হয়। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়