১০ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:০২, ৯ অক্টোবর ২০২৫

দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন নয়ন: পুলিশ

দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন নয়ন: পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ড্রামের ভেতর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত নয়ন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ওরফে সাবরিনা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেল ওরফে ঠোঙ্গা রাসেলের হাতে খুন হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ হত্যা রহস্য উদঘাটন, জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং নিহতের কেটে ফেলা পা দু’টিও উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন: নিহত নয়নের স্ত্রী সাবিনা ওরফে সাবরিনা (৩৮), তার পরকিয়া প্রেমিক রাসেল ওরফে ঠোঙ্গা রাসেল (৪২), হত্যা এবং পরে লাশ গুমে সহযোগিতা করা চয়ন (৩৮), জুয়েল (২৮), নোমান ওরফে মানিক (২৮), সাবিনার কন্যা সুমাইয়া (২০) ও সানজিদা ওরফে সাজু (১৮)। তারা সকলেই ফতুল্লার শেহারচর ও তক্কারমাঠ এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুুলিশ।

গত মঙ্গলবার দুপুরে তক্কারমাঠ এলাকার একটি মার্কেটের পেছনে খালি জায়গায় প্ল্যাস্টিকের ড্রামের ভেতরে মেলে মো. নয়নের (৪৮) মরদেহ। পরে নিহতের বাবা আব্দুস সালাম ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসপি জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত নয়ন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। তিনি দুই বিয়ে করেছিলেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেপ্তার সাবিনার আগের সংসারেও দুই কন্যা রয়েছেন। ৫ বছর আগে তাকে বিয়ে করেন নয়ন। তাকে নিয়ে ফতুল্লার পিলকুনি এলাকায় ভাড়া থাকতেন নয়ন। ৩ বছর আগে একটি মাদক মামলায় নয়নের সাজা হয়। ওই মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন। এসে কয়েকদিন নিজের বাবার বাড়ি এবং পরে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

“সাবিনার সঙ্গে থাকতে গিয়ে নয়ন জানতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে রাসেলের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়। পরে গত ৫ অক্টোবর কেলা সাড়ে বারোটার দিকে সাবিনার বাসায় রাসেল আসলে তাদের সঙ্গে নয়নের কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওই বাসায় সাবিনার দুই কন্যাও ছিলেন। এক পর্যায়ে সাবিনা ও তার প্রেমিক রাসেল বাসার একটি কক্ষে নয়নকে আটকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে মৃত্যু হয় নয়নের।”

হত্যার পরদিন গ্রেপ্তার চয়ন, জুয়েল, নোমান, সুমাইয়া ও সানজিদা এবং পলাতক আসামি সামিরসহ আরও ২-৩ জনের সহযোগিতায় নিহতের দুই পা কেটে মরদেহের উপরের অংশ নাইলনের রশি দিয়ে বেঁধে স্কচটেপ পেচিয়ে একটি প্ল্যাস্টিকের ড্রামে ভরে ফেলে রাখে বলেও তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাতে জানান এসপি।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়