সেই সাঈদের বিরুদ্ধে এবার আবাসিক ভবনের ছাদ দখলের অভিযোগ

জমি বিক্রির অর্থ আত্মসাতের জন্য অভিযুক্ত সৈয়দ আহাম্মেদ সাঈদের বিরুদ্ধে এবার একটি আবাসিক ভবনের ছাদ দখল করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাঢ়ার ময়না ভবনের অন্তত ১৩ জন ফ্ল্যাট মালিক বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের একটি অনুলিপি তারা ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেও দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, একই এলাকার মোহাম্মদ আমীর হোসেনের ছেলে সৈয়দ আহাম্মদ সাঈদ (৪০), প্রয়াত নান্নু মিয়ার সন্তান রেজাউল করিম হিরা (৪২), আব্দুল করিম রানা (৪০) ও নাহিদা আক্তার লাভলী (৩৮) মিলে ভবনের ১০ম তলার মালিকদের মিটিং রুমটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। সেখানে বাইরে থেকে লোকজন এনে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
ফ্ল্যাট মালিকরা অভিযোগ করেন, এতে তারা ছাদে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। এমনকি ছাদে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের কাজও থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় সাঈদ ভবনের নিচে লিফটের মুখে ও ছাদের কর্নারে সিসি ক্যামেরা বসান, যা মালিকদের সন্দেহ আরও বাড়ায়। তিনি ভবনের বাসিন্দা নন, তবুও সিকিউরিটিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে লিফট ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভবনের ঠিকানা ব্যবহার করেন।
এর আগে এ সাঈদ আহাম্মদের বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামান হোসেন জাকি নামে এক ব্যক্তি পিবিআইতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, গুরুতর আহত থাকায় তিনি সম্পত্তি বিক্রির দায়িত্ব দেন সাঈদকে। শর্ত ছিলÑ বিক্রির টাকা চার অংশীদারের মধ্যে সমান ভাগে বণ্টন করবেন। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, সাঈদ ও ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক জেলা প্রশাসন ও রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৮ টাকা চেকের মাধ্যমে ও ৫ লাখ টাকা নগদ নেন। পরে অতিরিক্ত আরও ১ কোটি ৬৫ লাখ ৭ হাজার টাকার চেক ইস্যু করানো হয়, যা অপর তিনজনকে জানানো হয়নি। এতে তাদের বৈধ পাওনা গোপন রাখা হয়।
অভিযোগকারী জামান হোসেন জাকি দাবি করেছেন, সাঈদ যোগসাজশের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত, আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।