০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ:

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২০:৫৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবহেলায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, প্রো-অ্যাক্টিভের বিরুদ্ধে তদন্ত

অবহেলায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, প্রো-অ্যাক্টিভের বিরুদ্ধে তদন্ত

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় রুবিনা আক্তার নামে এক স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত সাক্ষ্যও দিয়েছে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর ছেলে ও ভাই।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে ভর্তি হন রুবিনা আক্তার। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাকসিনেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওইদিন দুপুর দুইটায় প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালে নেওয়া হলেও রাত আটটা পর্যন্ত তাকে সেখানের কোনো চিকিৎসক সশরীরে পরীক্ষা করে দেখেননি। রাত আটটার পর ডিউটি ডাক্তার রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে জানান এবং রাত দশটার দিকে কিছু প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা করাতে দেন। রাত বারোটায় রোগীকে প্রথম কনসালটেন্ট ডাক্তার দেখেন এবং একটার দিকে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলেও বিশেষায়িত চিকিৎসা বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর কোনো ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করেনি। পরে রাত দুইটার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হলেও তার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা গেছেন বলে স্বজনদের জানানো হয়।

গত ২৬ আগস্ট এ ঘটনায় বিউটি আক্তারের ভাই মফিজুল ইসলাম জেলা সিভিল সার্জন এএফএম মুশিউর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ তোলেন। পরে সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে ফারহানাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

মফিজুল ইসলাম বলেন, “দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আমি বারবার বলার পরও কোনো ডিউটি ডাক্তার আমার বোনকে সশরীরে গিয়ে দেখেননি। নার্সদের মাধ্যমে শুধু স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয় তাকে। আমরা সুযোগ-সুবিধা ভালো পাবো চিন্তা করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বোনকে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালে একজন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন না, অপরজনও ছিলেন কুমিল্লায়। কিন্তু তিনি আসেন রাত বারোটায়। ইতোমধ্যে আমার বোনের অবস্থার ভয়ানক অবনতি হয়ে যায়। এ ধরনের চিকিৎসা অবহেলার প্রতিকার চাই আমরা।”

সোমবার তদন্ত কমিটি ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কমিটির প্রধান ডা. উম্মে ফারহানার কার্যালয়ে কথা বলেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের দুইজন সদস্য লিখিতভাবে ঘটনার বিবরণও দেন। পরে দুপুরে তদন্তের প্রো অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও যান কমিটির সদস্যরা।

তবে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. উম্মে ফারহানা। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়