অসহনীয় গরমের মধ্যে যানজটে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জবাসী

ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি থাকায় গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী। তার ওপর তীব্র যানজট নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ চাষাঢ়া, চেম্বার রোড, টানবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অধিক যানবাহনের চাপে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে দ্বিগুণ সময়।
সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। একই সময়ে সড়কে যানবাহনের চাপও বেড়ে যায়। ফলে বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থেমে থেমে চলতে থাকে। বিশেষ করে নগরীর ২ নম্বর গেট রেলক্রসিং এলাকায় প্রায়ই তৈরি হচ্ছে যানজট।
যানজটের পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ট্রাফিক আইন অমান্য করে মূল সড়কে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী তোলা-নামানো, বাসগুলোকে যত্রতত্র দাঁড় করানো এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেনেজের কাজ চলমান থাকায় এক লেন বন্ধ থাকা। সেই সঙ্গে ফুটপাত দখল করে রাখা ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক নগরের সড়কগুলোকে প্রায় অচলাবস্থায় ফেলে দিচ্ছে।
যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর্মীরা। তবে অধিক যানবাহনের চাপ ও শৃঙ্খলার অভাবে কার্যকর সমাধান মিলছে না।
রিকশা জ্যামে বসে থাকা যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, “এমনিতেই গরম পড়েছে, তার মধ্যে যানজট। মনে হয় হাঁটলেই গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানো যাবে। এই গরমে বসে থাকা কষ্টকর।”
অন্যদিকে সন্তানকে নিয়ে যানজটে আটকে থাকা সাবিনা বেগম বলেন, “বাচ্চাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি। গরমে বাচ্চা ছটফট করছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। শহর যদি এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন থাকে তাহলে বাড়ি থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে যাবে।”
সমাধান হিসেবে নগরবাসী বলছে, অবৈধ ফুটপাত ও স্ট্যান্ড উচ্ছেদ, সড়কে যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করতে হবে।