প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৪-১১-২৫ ইং তারিখে “নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদ ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অভিযোগ” শীর্ষক একটি সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শহীদুল ইসলাম।
এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়াকফকৃত জমিতে নির্মিত একটি মসজিদ ভেঙে বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন—যা সম্পূর্ণ অসত্য ও কাল্পনিক।
তিনি বলেন, “মিজমিজি সালুহাজী রোড এলাকায় অবস্থিত বায়তুস সালাম জামে মসজিদটি অত্যন্ত পুরনো ও জরাজীর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি উঠে, নিচু অবস্থানে থাকায় মুসল্লিদের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ওজুখানাসহ নানান সমস্যার কারণে আমরা আত্মীয়–স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় মসজিদটির ভবন পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।”
তিনি জানান, সম্প্রতি এলাকার একটি অসাধুচক্র মসজিদকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে—যা দুঃখজনক।
শহীদুল ইসলাম বলেন, “মসজিদটির জমির মালিক আমরা নিজেরাই এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আমাদের নামে রয়েছে। সালাহউদ্দিন হাজীর ওয়ারিশরা মসজিদ পরিচালনার সব দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছেন। জমি নিয়ে পূর্বের ভুল–বোঝাবুঝিও আদালতের মাধ্যমে মিটে গেছে। তাঁদের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।”
তিনি আরও বলেন, “২০০১–২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে রাজনীতির মাঠে কাজ করেছি। বিএনপির দুঃসময়ে কখনো মাঠ ছাড়িনি। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার সামাজিক, ব্যবসায়িক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।”
তিনি বলেন, “মসজিদ আল্লাহর ঘর। তাকে নিয়ে রাজনীতি বা মিথ্যাচার না করে বরং মসজিদের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”





































