যানজট নয়, রেলসেবা সীমিত করার পেছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ্য: পন্টি

নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলসেবাকে চাষাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করার একটি অপচেষ্টা চলছে, যা গণবিরোধী ও উদ্দেশ্যমূলক।
তিনি বলেন, “একটি প্রচারণা চালানো হচ্ছে যেন রেল চলাচলের কারণে শহরে যানজট হয়। অথচ এটা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যানজটের পেছনে ৪-৫টি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রেলের ভূমিকা নেই।”
আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, “এর আগেও প্রায় এক বছর রেল চলাচল বন্ধ ছিল, তখনও যানজটের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। মূল সমস্যা হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি, বাস ও অন্যান্য যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল, সড়ক দখল, শহরের মধ্যে বাসস্ট্যান্ড স্থাপন এবং ২ নম্বর রেলগেটে বাস দাঁড়িয়ে থাকা।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেলসেবা সীমিত করার পাঁয়তারা চলছে। সেইসঙ্গে রেলের জায়গা দখলের অপচেষ্টাও অন্যতম কারণ। অথচ শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ড সরানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।”
রেলসেবা সংকোচনের সিদ্ধান্তকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে পন্টি বলেন, “এতে বন্দরসহ আশেপাশের এলাকার সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত ব্যয় বাড়বে এবং দুর্ভোগও বৃদ্ধি পাবে। বরং রেলসেবা নিয়মিত ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হলে মানুষ বাসের পরিবর্তে ট্রেনেই চলাচল করত।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মেট্রোরেল যখন কমলাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে যাচ্ছে, তখনই কেন রেলস্টেশন সংকোচনের চেষ্টা চলছে?”
নারায়ণগঞ্জবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “হুজুকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন—কারা উপকৃত হচ্ছে এই পরিকল্পনায়?”