সময় পেরিয়ে গেলেও সরেনি পোস্টার-ফেস্টুন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর অনেক জায়গায় এখনো রাজনৈতিক নেতাদের পোস্টার ও ফেস্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়নি। যদিও নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাদের সাঁটানো এসব পোস্টার নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল।
তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন প্রার্থী কিছু জায়গায় তাদের পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিলেও অনেকেই তা করেননি। এমনকি অনেকে নির্দিষ্ট স্থানের পোস্টার অপসারণ করলেও অন্য অনেক জায়গায় তাদের পোস্টার দেয়ালে সাঁটানো দেখা গেছে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহর ও শহরতলীর কয়েকটি স্থান ঘুরে বঙ্গবন্ধু সড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক, পঞ্চবটি, ফতুল্লা, কাশীপুর, গোগনগর, শহীদনগর, পাইকপাড়ায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটানো দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়।
তফসিল ঘোষণার আগেরদিন বুধবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাঁটানো নির্বাচনী পোস্টার, দেয়াল, তোরণ, গেইট নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদকে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
তফসিল ঘোষণার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে নেবার নির্দেশ দেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ওইদিন তার কর্মীদের শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলতে দেখা যায়। কিন্তু শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো তার পোস্টার সাঁটানো দেখা গেছে।
এদিকে, শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদও নিজের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। তিনি নিজ হাতে কয়েকটি পোস্টার সরিয়ে নেন এবং কর্মীদের বাকিগুলো সরানোর নির্দেশনা দেন। একই কার্যক্রমে দেখা যায় দলটির নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বারকেও।
যদিও তাদের পোস্টার এখনো কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে।
এছাড়া, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জেও একই চিত্র বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন এখনো সড়ক ও সড়কের পাশে বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো রয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী (২০২৫) অনুযায়ী, এবার প্রার্থীরা কোনো প্রকার পোস্টার সাঁটাতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। যদিও বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে পোস্টার সাঁটানো যেতো।





































