মাসুদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন সেন্টু
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
‘মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, “মাসুদুজ্জামানের পরিবার বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি তরুণ বয়স থেকে যুবদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন মেয়র নির্বাচনে আইভীকে সাপোর্ট করেছেন, এমন তথ্য বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর জানা নাই।”
বুধবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপিতে যোগদান করেন ক্রীড়া সংগঠক, মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা তাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনীত করেছেন। তাঁর পরিবারটি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি তরুণ বয়স থেকে যুবদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। দুই শতাব্দী ধরে তাঁর পরিবারটি নারায়ণগঞ্জ শহরে। তাঁর দাদা মরহুম হোসেন সরদার ও তাঁর পিতা মরহুম আলি নূর ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং জাতীয় সমবায় সংগঠক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মাসুদুজ্জামানের পরিচয় তিনি ধানের শীষের প্রার্থী মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের প্রসিদ্ধ মডেল শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ভোটাররা তাঁর সম্পর্কে ভালো জানে বলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাচাই-বাছাই করে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর এলাকায় ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে তাঁর পরিচয় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিএনপির তিনি মনোনীত প্রার্থী। সে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, উদ্দেশ্য, ১৯ দফা, রাষ্ট্র মেরামত ও বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছেন। তার পক্ষে নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেছে, ধানের শীষে ভোট চাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন কালেই বিএনপির আদর্শ, উদ্দেশ্য বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে এ কথা কেউ বলতে পারবে না। মাসুদুজ্জামান মাসুদ তৎকালীন মেয়র নির্বাচনে আইভীকে সাপোর্ট করেছে, এই তথ্য বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের জানা নাই। ফেসবুকে প্রকাশিত আইভীকে সমর্থনের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী নেতা। তিনি এফবিসিসিআই’র সাবেক সহসভাপতি, পুরাতন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। অনেক সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে থাকেন।”
আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, “মাসুদুজ্জামান বিকেএমইএ’র নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে মাসুদুজ্জামানের একান্ত ব্যক্তিগত মো. মনির হোসেন বিস্ফোরক মামলার আসামিও হয়। এ থেকে প্রতিয়মান হয় ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে মাসুদুজ্জামানের কোন সম্পর্ক নাই। স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী কখনো আঞ্চলিকতার কারণে বিজয়ী হয়নি। বিএনপির প্রার্থীকে শহীদ জিয়াউর রহমানের সততা ও আদর্শের দল হিসেবে, জনগণ ধানের শীষে সবসময় ভোট দিয়েছে।”
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।





































