স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম: তরিকুল সুজন

নারায়ণগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন। তিনি বলেন, “ঢাকার পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জ জাতীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখলেও স্বাস্থ্য খাতে এখানকার অবস্থা অতন্ত নাজুক ও অবহেলিত।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি, চিকিৎসা সেবা এবং হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ শেষে এই কথা বলেন তিনি।
প্রতিনিধি দল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বিশেষ করে ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তরিকুল সুজন। এসময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, প্রচার সম্পাদক শুভ দেব এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।
তরিকুল সুজন বলেন, “ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অপরাধীচক্র সক্রিয় রয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঝুঁকিপূর্ণ। গণপূর্ত বিভাগের অবহেলার কারণে সংস্কার কাজের অগ্রগতি নেই। ঢোকার সময়ই দেখা যায় হাসপাতালের গেইট সংলগ্ন ড্রেনে অটোচালকরা প্রস্রাব করছেন। পুরো হাসপাতালজুড়ে ড্রেন ও সুয়ারেজ পাইপ ভাঙা, ফলে রোগীদের মল-মূত্র ছড়িয়ে পড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালের ওয়াশরুমগুলোর অবস্থা বেহাল- কোথাও ছিটকিনি নেই, কোথাও লাইট বা পানির কল নষ্ট। এসব ছোটখাটো সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন আরএমও ডাঃ জহিরুল ইসলাম। তবে অবকাঠামোগত সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে গণপূর্ত বিভাগের সহযোগিতা জরুরি।”
আরএমও ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রতিনিধি দলের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তারা খানপুর হাসপাতালও পরিদর্শন করেছেন। আজ তারা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। আমরা আশ্বাস দিচ্ছি, যেসব সমস্যা আমাদের হাতে রয়েছে তা আগামীকালকের মধ্যেই সমাধান করা হবে। অবকাঠামোগত সংস্কারে গণপূর্ত বিভাগের সহায়তা প্রয়োজন।”