সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর দোকান-বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে বিএনপির নেতার পিএসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও তার ছেলেসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক হান্নান মিয়া সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর গ্রামের কাঠের ব্যবসায়ী ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক হান্নান মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ কাঠের ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মুজাহিদ মল্লিকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে পরিচিত রহিম মিয়া একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট গড়ে হান্নানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার রাতে রহিম মিয়া, সোবাহান, তারা মিয়া, তানভীর, গাফফার আরাফাত, লিয়নসহ একদল সশস্ত্র বাহিনী হান্নানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
হামলায় বাধা দিলে হান্নানের ছেলে মেহেদি ও আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী হান্নান মিয়া বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় রহিম ও তার লোকজন বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছে। এসময় বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই রহিম মিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে ও তার সহযোগীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে, আর কেউ অস্বীকৃতি জানালে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে আল-মুজাহিদ মল্লিক ও তার পিএস রহিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’