২৫ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ:

প্রকাশিত: ২১:০৬, ২৩ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২১:০৭, ২৩ আগস্ট ২০২৫

ফতুল্লায় ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ নিয়ে বিরোধে মারধর, ছাত্রদল নেতা হাসপাতালে

ফতুল্লায় ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ নিয়ে বিরোধে মারধর, ছাত্রদল নেতা হাসপাতালে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির পাল্টা অভিযোগ, তাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মারধর করে মাথার চুলও কেটে দেন সাবেক ওই ছাত্রদল নেতা ও তার অনুসারীরা।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়নের চিতাশাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. মফিজ (৪০) কুতুবপুরের শিমুলবাগ এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় ফল বিক্রেতা মফিজ নিজেকে স্থানীয় বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দেন।

এদিকে, আরাফাত হোসেন মামুন (২৫) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মামুন চিতাশাল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

মামুনের স্বজনরা অভিযোগ করেন, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধা দেওয়ায় মফিজ তার লোকজনকে নিয়ে মামুনকে মারধর করে চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মফিজের বিরুদ্ধে চিতাশালের এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার রাতে ওই নারীর বাসায় অবস্থানের কথা জানতে পেরে সেখানে যান ছাত্রদল নেতা মামুন ও তার অনুসারীরা। পরে সেখানে গিয়ে মফিজকে মারধর করেন তারা। মফিজের মাথার চুলও কেটে দেওয়া হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে মফিজ তার পরিচিত লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে মামুনকে মারধর করেন এবং তখন ছাদ থেকে পড়ে যান মামুন।

পরে গুরুতর অবস্থায় আরাফাত হোসেন মামুনকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

যদিও এক ভিডিওতে মফিজ বলেন, একটি টাকার লেনদেনের ঘটনায় মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ওই নারীকে দিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনা পরিকল্পিত ছিল বলে দাবি তার।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “মূল ঘটনা তদন্তের পর জানা যাবে। ছাত্রদল নেতা আরাফাত চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়