মাসুদুজ্জামানের সিদ্ধান্ত বদলের দাবিতে বিক্ষোভ, ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর বরফকল এলাকায় মাসুদুজ্জামানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে নেতা-কর্মীরা ‘মাসুদ ভাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘মাসুদ ভাইয়ের সিদ্ধান্ত মানি না, মানবো না’—এমন স্লোগান দেন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কান্না করতেও দেখা যায়। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা পরিবেশ ঘোলাটে করে মাসুদুজ্জামানকে চাপে ফেলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছেন।
এ সময় বক্তব্যে কয়েকজন নেতা মাসুদুজ্জামান সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।”
বিক্ষোভ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মাসুদুজ্জামান যেন তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দ্রুত নির্বাচনী মাঠে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “শুধু নিজের পরিবার নয়, বিএনপির নেতাকর্মীরাও আপনার পরিবার।”
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, মাসুদুজ্জামানের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না। সব ধরনের ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে তাকে নির্বাচনী মাঠে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, মাসুদুজ্জামানের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেতাকর্মীরা নেবেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা হবে।
সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো হলে তা বিএনপির বড় পরিবার ও নারায়ণগঞ্জবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল হবে। সব সংকটে দল ও এলাকাবাসী মাসুদুজ্জামানের পাশে থাকবে বলেও তিনি জানান।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, মাসুদুজ্জামান যেন কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে না যান এবং নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে থাকার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি এনামুল হক খন্দকার স্বপনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।





































