দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা এটিএম কামাল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা এটিএম কামাল। বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি।
পরে বিমানবন্দরে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান অনুসারী ও ঘনিষ্ঠ নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাবু প্রমুখ।
এটিএম কামাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমান। নয় মাস সেখানে থাকার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। তিনি সেবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে আসনটি নির্বাচনী জোটের শরিক দলকে ছেড়ে দেয় বিএনপি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই আবার দেশ ছাড়েন কামাল। ফেরেন আবার ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদপ্রার্থী হন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। সারাদেশে বিষয়টি আলোচিত হলে দল তাকে বহিষ্কারও করে।
কিন্তু তৈমুর আলমের ওই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হন এটিএম কামাল। এতে এটিএম কামালও দল থেকে বহিষ্কার হন।
তবে, নির্বাচনের শেষদিন পর্যন্ত তৈমুরের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন কামাল। যদিও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।
সিটি নির্বাচনের পর আবারও দেশ ছাড়েন এটিএম কামাল। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও পরিবার নিয়ে আমেরিকায় ছিলেন বিএনপির এ নেতা। চলতি বছর তিনি আবারও দেশে ফেরেন। কিন্তু গত আগস্টে আবারও দেশ ছাড়েন।
যাবার আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এটিএম কামাল আজীবন জাতীয়বাদী দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখার কথা জানান। দেশ ছাড়লেও তিনি বিএনপির একজন কর্মী পরিচয় বহন করবেন বলেও জানান।
গত ২৬ নভেম্বর এটিএম কামালের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় বিএনপি। দলের সদস্য পদ ফিরে পাবার বুধবার রাতে দেশে ফিরলেন কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনীও। বিমানবন্দরে মা ও বাবাকে অভ্যর্থনা জানান একমাত্র ছেলে নাহিন মোজতাবা সোহান।
তরুণ বয়সে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন কামাল। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ২০১৭ সালে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। এ দায়িত্ব পালন করেন ২০২২ সালে বহিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে হামলা-মামলার শিকার এ বিএনপি নেতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকলেও দলের তৃণমূলে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে, নির্বাচনের আগমুহুর্তে তার দেশে ফেরা নিয়ে অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।





































