১৫ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

জনগণের ভোটই অন্যায়চক্র ভাঙার সবচেয়ে বড় শক্তি: অঞ্জন দাস

জনগণের ভোটই অন্যায়চক্র ভাঙার সবচেয়ে বড় শক্তি: অঞ্জন দাস

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা নির্বাহী সমন্বয়কারী ও গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় চিটাগাং রোড থেকে গণসংযোগের মাধ্যমে তাঁর প্রচারণার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা, তাদের মতামত জানা এবং স্থানীয় সমস্যা-সংকটকে কেন্দ্র করে জনগণনির্ভর রাজনীতি গড়ে তোলাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বলে জানান আয়োজকরা।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে শ্রমিক, দোকানি, পরিবহন শ্রমিক, কলেজ শিক্ষার্থী, স্থানীয় নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য, যা পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের নিয়ামুর রশিদ বিপ্লব, আলঙ্গীর হোসেন আলম, পপি রাণী সরকার, জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. জিয়াউর রহমান, সদস্য সচিব মো. সোহাগসহ জেলা ও থানার নেতাকর্মীরা।

এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক এম এইচ প্রান্ত ও সম্পাদক মো. মোবাশ্বির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি থেকে ছিলেন মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, রনি শেখসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাকিব হোসেন হৃদয়, রুবেল মোল্লা, রাকিবুল ইসলাম ইফতি, সাকিব হাসান সানি; প্রতিবেশ আন্দোলনের রাইসুল রাবিব ও আওলাদ হোসেন; এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাইদুর রহমান, ইউশা ইসলাম, শাহিন মৃধা, অনামিকা চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা গণসংযোগে যোগ দেন।

গণসংযোগে সংক্ষেপ্ত বক্তব্যে অঞ্জন দাস বলেন, “নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মানুষ বহু বছর ধরে অবহেলা, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা আর দখলদারিত্বের দৌরাত্ম্য সহ্য করছে। যারা জনগণের জমি, নিরাপত্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে জিম্মি করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষের রাজনীতিই হবে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মানুষের কাছে এসেছি শুধু শোনার জন্য নয়, এই অন্যায়চক্র ভাঙার অঙ্গীকার নিয়ে। জনগণের ভোটই হবে দখল-সন্ত্রাস-ভূমিদস্যু চক্রের আধিপত্য ভাঙার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”

অঞ্জন দাস প্রতিশ্রুতি দেন, সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন, স্বচ্ছ রাজনীতি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দৃঢ়ভাবে কাজ করবেন।

গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা জানান, আজকের গণসংযোগ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি জনগণের মতামতকে ইশতেহার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কেন্দ্রে রাখার প্রক্রিয়ার অংশ। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক গণসংযোগ, পথসভা, মতবিনিময় ও পেশাজীবী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার কর্মসূচি চলবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়