শামীম ওসমানের প্রতারণার জবাব নারায়ণগঞ্জবাসী দিয়েছে: সাঈদ
শহরে শো-ডাউন করে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের প্রধান নেতা সাঈদ আহমেদ। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের আমলাপাড়া কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু সড়কজুড়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
সাঈদ আহমেদ বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহু দুঃখজনক ও বিতর্কিত ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার ও দমন পীড়নের অভিযোগ যেভাবে উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলোর স্মৃতি আজও জাতির মনে গভীর ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে। ১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজশাহীতে আমাদের দলের ৪৪ জন নেতাকে হত্যার অভিযোগ, কিংবা ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থেকে সিরাজ শিকদারকে আটক করে। পরে হত্যার ঘটনাকে ঘিরে উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি এসবই ইতিহাসে গভীর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একইভাবে, তৎকালীন সংসদ সদস্য শাহিন আলীর মৃত্যুকেও অনেকেই রাজনৈতিক নিপীড়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। ঘটনাগুলো আমরা ইতিহাসের দাবি হিসেবে তুলে ধরি জবাবদিহির প্রয়োজন থেকে, সত্য উন্মোচনের প্রয়োজন থেকে। শেখ হাসিনার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেভাবে দমন-পীড়ন হয়েছে অনেকে মনে করেন তার নজির পৃথিবীর ইতিহাসেই খুব কম রয়েছে। আর ঠিক সেই কারণেই আমরা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্দেশনায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষের সাথে শামীম ওসমান প্রতারণা করেছেন, এ অভিযোগ জনগণের মুখেই শোনা যায়। প্রেসিডেন্টের গাড়ি থামিয়ে স্মারকলিপি দেয়ার ঘটনায় তিনি নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করলেও সেদিন ওই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি প্রচার করেছে নারায়ণগঞ্জকে জেলা করা এবং তোলারাম কলেজকে সরকারি করার দাবিতে সেই স্মারকলিপি তিনি নিজেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় শামীম ওসমানের রাজনৈতিক অস্তিত্বই ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের জনগণ যেভাবে প্রতারণার জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও ঠিক সেভাবেই দেবে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, তালবাহানা, কিংবা অগ্নিসংযোগ বা কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা কোনোটাই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এবং জনগণের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
সাঈদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের সাথে শামীম ওসমান প্রতারণা করেছে। প্রেসিডেন্টের গাড়ি সে থামিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল, শামীম ওসমান মিথ্যা কথা বলেছে। সেইদিন শামীম ওসমান কোনভাবেই এর সাথে জড়িত ছিল না। ঐদিন আমি নিজে জিয়াউর রহমানকে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলাম। নারায়ণগঞ্জকে জেলা করার জন্য, তোলারাম কলেজকে সরকারি করার জন্য, সেই সময় শামীম ওসমানের অস্তিত্ব ছিল না। নারায়ণগঞ্জের মানুষের সাথে যেভাবে প্রতারণা করেছে নারায়ণগঞ্জের জনগণ ঠিক ওইভাবেই তাকে এর জবাব দিয়ে দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের জনগণকে নিয়ে কোন তালবাহানা, কোন অগ্নিসংযোগ, যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় তাহলে আমরা কোন ছাড় দিব না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল এর) পলিটব্যুরোর সদস্য মেহেবুব, কেন্দ্রীয় সদস্য নওশাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি নুরুলদীন ঢালী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সম্পাদক জেলা সুমন হাওলাদার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির শিকদার, আহবায়ক মহানগর গোলজার প্রধান, সদস্য সচিব জেলা শাকিল ও সভাপতি বন্দর থানা ইরফান খন্দকার ।





































