দলের স্বার্থে দুইবার মনোনয়ন ছেড়ে দিয়েছি: শাহ আলম
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, ২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালেও বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তবে দল ও জোটের স্বার্থে এবং উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার পাগলা বাজার এলাকায় র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “২০০৮ সালে বেগম খালেদা জিয়া আমাকে মনোনয়ন দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। ষড়যন্ত্র করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। দেশের জনগণ জানে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছিলেন আপনারা—সেজন্য কৃতজ্ঞ।”
মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। “আমি কখনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের প্রশ্রয় দেইনি। দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হতে পারলে নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চাই। জীবনে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেব না। যারা বিএনপি করে তারা কখনো সন্ত্রাসী হতে পারে না।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন—ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা বিএনপির সদস্য নাজিম হাসান মিটু, একরামুল কবির মামুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম এ আকবর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহের মোল্লা, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আমিনুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আরাফাত আলম জিতু প্রমুখ।





































