হামলায় জড়িত নন দাবি সাখাওয়াতের: ‘ইমেজ নষ্টের চেষ্টা’
নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে একটি মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত নন জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, তাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে একদল ব্যক্তি তাকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত করছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে দুপুর বারোটার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার ভিডিওতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে সাখাওয়াত হোসেনের দু’জন ঘনিষ্ঠ আইনজীবী ও তার মুহুরিসহ কয়েকজনকে দেখা যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার অনুসারী আইনজীবী ও সহকারীরা মিলে তাদের মারধর করেছেন।
তবে, সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “এই ঘটনায় রাজনৈতিক কারণে, আমার ক্লিন ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আমার প্রতিপক্ষ, যে জাতীয় নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থী হবেন, তার ইন্ধনে এখানে আমাকে জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার কোনো ভিডিওতে আমাকে দেখবেন না। যারা অভিযোগ করছেন তাদের সাথে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি, আজও না।”
এই ঘটনার সঙ্গে তাকে জড়ানোর পেছনে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করেন সাখাওয়াত।
তিনি বলেন, “একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, যাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে আমাকে জড়াতে চাচ্ছে। আসলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বিষয়। যাই ঘটেছে তা অন্য কারো সাথে ঘটেছে আমার সাথে কোনো কিছু না।”
ঘটনার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, “সে সময় আমি আদালতে ছিলাম না। ঘটনার একঘন্টা পর আমি আদালতে এসে এ ঘটনা শুনেছি। আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কোনো প্রতিপক্ষ এ প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, প্রশ্নকর্তাই সম্পূর্ণ বিষয়টা সাজিয়েছেন। এ ঘটনা দিয়ে আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করা হলেও আশা করি তারা সফল হবে না।”
তবে, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রাজিয়া ও তার দুই ছেলেও এই হামলায় আহত হয়েছেন।
অভিযোগে তিনি সাখাওয়াত হোসেন খানসহ তার অনুসারী আইনজীবী- আল আমিন ও খোরশেদ আলম এবং মুহুরি হিরণ বাদশাসহ আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পর আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”





































