যারা ‘পিআর’ দাবি করে তারা দেশে নির্বাচন চান না: আব্দুস সালাম আজাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যারা ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন তারা দেশে নির্বাচন চান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন গোলাম আজম। তাদের মধ্য দিয়ে এদেশে রাজাকার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই দলটি এতোদিন আমাদের সাথে গণতন্ত্রের পক্ষে ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না, তারা ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। এই যে ‘পিআর’ নামে একটি কোন্দল সৃষ্টি করা হল, এটার কারণ তারাও চায়, নির্বাচন যেন এদেশে না হয়।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন আয়রন মার্কেট এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি বিদেশি যড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশি বিদেশি যড়যন্ত্রকারীরা চায়, দেশে যেন প্রফেসর ইউনুসের মাধ্যমে আরেকটি নির্বাচন হতে না পারে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয়তাবাদী দল প্রফেসর ইউনুসকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, যত রকম যড়যন্ত্র হোক না কেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। এবং নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দল যেমন পূর্বে রাস্তায় ছিল এখনও রাজপথ থেকে একটি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করবে। এটাই আমাদের দলের শপথ এবং আমরা সেই শপথের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করব।
জামায়াতে ইসলাসীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করেছেন, এরশাদের সময় গণবিরোধিতা করেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে ছিলেন এবং আমাদের সাথেও এসেছিলেন তাদের ব্যক্তিগত আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য। আমরা বলছি যতো ষড়যন্ত্র করেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি টিকে থাকবে না ও থাকতে দেওয়া হবে না। এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান করেন তিনি।
তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাইয়ে গত ১৬টি বছর একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করতে হলে তত্ত্বাবধায়কের বিকল্প নাই। যার জন্য তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিলেন। এটাই ছিল হাসিনার ভয়, কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয় তাহলে বাংলাদেশে হাসিনা গংদের অস্তিত্ব থাকবে না। জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারে, তাহলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা নির্বাচনে কোনভাবে নির্বাচিত হতে পারবে না বিদায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেননি। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার যিনি চাইলেন, গণতন্ত্রের জন্য কথা বললেন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে ১০ বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল।