সেলিম ওসমান একজন রাজনৈতিক ব্যবসায়ী: সুফিয়ান

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ,একে,এম আবু সুফিয়ান বলেছেন, বন্দরবাসী দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে পারে না। আপনি সিটি করপোরেশন অধ্যুষিত বন্দরকে যেমন উন্নয়নে বহুদুর এগিয়ে নিয়েছেন তদ্রুপ বন্দর থানার ৫টি ইউনিয়ন অনেকখানি পিছিয়ে আছে। নৌকায় ভোট দিতে না পারার কারণে সারাদেশের উন্নয়নের হাত থেকে বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছে। ২৫/৩০ বছর আগের রাস্তা যেমন ছিল ঠিক তেমনই ভাঙ্গাচোরা আছে এখনো। এই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা প্রতিক বরাদ্দ দিতে হবে। আপনার সাথে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক, আমরা বিশ্বাস করি আপনি নেত্রীকে অনুরোধ করলে নেত্রী আপনার অনুরোধ ফেলবেন না।
সোমবার (৪ জুন) বন্দরের কাবিলার মোড়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত প্রধান অতিথি নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
সুফিয়ান আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার দায়িত্ব দিবেন আমরা তার হয়েই কাজ করব। আমাদের তার পক্ষে কাজ করতে কোন আপত্তি নাই। আমরা পরিবারের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, আমরা নৌকার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু এই লাঙ্গলের বোঝা আমরা আর ঘাড়ে বইতে রাজি না। আমাদের দল ক্ষমতাসীন হবার পরেও বন্দরে আমাদের অবস্থান তৃতীয় দলের মত। এখানে বিএনপির লোকজন সাংসদের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে প্রভাব বিরাজ করছে। আগে যেখানে নৌকায় পার হতাম আট আনা-আট আনা ১ টাকায়। এখন সেখানে নৌকা ভাড়া ফ্রি হলেও ৪ টাকা টোল দেয়া লাগে। সেই ব্যবসায়ী (সেলিম ওসমান) আজ বন্দরবাসীকে নিয়ে ব্যবসা করছে। সে জনপ্রতিনিধি নয়, সে একজন রাজনৈতিক ব্যবসায়ী। তিনি মাসে ১২ কোটি টাকা বন্দরবাসীর কাছ থেকে চুষে খেয়ে যাচ্ছে। এখানে যে সব স্কুলে অনুদানের প্রয়োজন রয়েছে সেখানে আমরা কারো দয়া চাইনা। আমরা সেসব স্কুলে সরকারী অনুদান চাই। সারাক্ষন ব্যবসায় মত্ত থাকবে আর জনগনের কথা মাথায় থাকবে না সে ধরনের জনপ্রতিনিধি আমরা চাই না।
আবু সুফিয়ান আরো বলেন, কোন ভাড়াটিয়া উড়ে এসে যাতে মনোনায়ন না পায় সে দিকে আপনি (মেয়র) লক্ষ্য রাখবেন। লাঙ্গলের টাকায় ভর করা পেতাত্তারা এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে বসবাস করছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে।
এসময় জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া খুরশিদের প্রসঙ্গ তুলে সুফিয়ান বলেন, খুরশিদ আলম সাগরকে কোন বিধিতে জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, থানা কমিটি থেকে কোন বিধিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সেটার প্রমান দিতে হবে।
ইফতার মাহফিলে মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ড্রা আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম, বীরমুক্তি মোশারফ খান, সন্ত্রাস নির্মুল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর কাদির, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আইয়ূব আলী, জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মিজান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, সদস্য শহিদুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক খালিদ হাসান, সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোকনউদ্দিন আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভোলানাথ দাাস, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির এলিন, আব্দুর রউফ, আনোয়ার হোসেন আনু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক একেএম ইব্রাহীম কাশেম। নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, ২৭নং ওয়ার্ড কামরুজ্জামান বাবুল, মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকন, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম