০৩ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৩:২৩, ৩ আগস্ট ২০২৫

৩রা আগস্ট: চাষাঢ়ায় উঠেছিল ‘বোরকা শামীম’ ব্যানার

৩রা আগস্ট: চাষাঢ়ায় উঠেছিল ‘বোরকা শামীম’ ব্যানার

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে ‘গডফাদার’ খেতাব পাওয়া দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই আওয়ামী লীগ নেতাকে ব্যঙ্গ করে শহরের চাষাঢ়া গোলচত্বরে টানানো হয়েছিল ‘বোরকা শামীম’ ব্যানার।

গত বছরের ৩ আগস্ট বিজয়স্তম্ভে সাঁটানো হয় এ ব্যানার।

এর কয়েকদিন আগে ১৯ জুলাই এই আওয়ামী লীগ নেতা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছিলেন। ওইদিন বিকেলে যখন শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ছোড়েন তখন ডিআইটি এলাকায় নিজেদের চারতলা বাড়ির ছাদে গুলিবিদ্ধ হন শিশু রিয়া গোপ। ৬ বছর বয়সী এ শিশু পাঁচদিন পর মারা যান।

শামীম ওসমানের ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার পর তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘কেজিএফ’। শামীম ওসমান ও তার অনুসারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের উপর মানুষের ক্ষোভ তখন তুঙ্গে। এই ক্ষোভই প্রকাশ পেয়েছিল ‘বোরকা শামীম’ ব্যানার টানানোর মধ্য দিয়ে।

ওইদিন, ৩ আগস্ট সকাল থেকেই শহরে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শহরের চারপাশের সড়কগুলো বন্ধ করে দেন। বেলা একটার দিকে হলুদ কাপড়ের উপর কালো রঙ দিয়ে ‘বোরকা শামীম’ লেখা ব্যানার সাঁটান শিক্ষার্থীরা।

ওইদিনই সারা শহরে চাউর হয় যে, শামীম ওসমান তার পরিবার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। যদিও তিনি তখনও দেশ ছাড়েননি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবার নিয়ে দেশ থেকে পালান শামীম ওসমান।

১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান তরুণ বয়সে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর খুন, গুম, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসেবে শামীম ওসমানের নাম আলোচিত হতে থাকে। ওই সময়ই তিনি ‘গডফাদার’ তকমা পান। পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ ছেড়ে পালান এ আওয়ামী লীগ নেতা। ওই সময় ‘বোরকা’ পরে দেশ ছাড়েন বলেও নারায়ণগঞ্জে আলোচনা রয়েছে। বিএনপি শাসনামল শেষ হলে আবারও দেশে ফেরেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনের সময় ‘বোরকা শামীম’ ব্যানার সাঁটানোর পেছনে তখন এটিও বড় কারণ হিসেবে তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিকূল সময়ে পালানোর চর্চার কারণে শামীম ওসমানের নামে ওই ব্যানার সাঁটানো হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন শহীদ মিনারে কালো কালিতে আরও একটি লাইন লেখা হয়। সেখানেও শামীম ওসমানকে ব্যঙ্গ করে লেখা হয়, ‘নেতারা পালায় না, তারা হিযরত করতে যায়’।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়