পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছে, তারা ভুল করছে: আশা

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা বলেছেন, “মুছাপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিএনপি আবারও জেগে উঠেছে। আজকের জমায়েত প্রমাণ করে, এই অঞ্চলে বিএনপির নেতৃত্ব শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের দোসর বা ফ্যাসিস্টদের হাতে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কাউসার আশা বলেন, “আমার পিতা আবুল কালাম সৎভাবে রাজনীতি করেছেন, পৈতৃক সম্পদ বিক্রি করে দলের জন্য কাজ করেছেন। আজ আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই উত্তরাধিকার বহন করছি। এই সম্পর্ক সম্পদের চেয়ে অনেক মূল্যবান।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মুছাপুরে যারা একের পর এক তিনটি নির্বাচন ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন, তারা এখন জামায়াতের মতো আচরণ করছেন। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। ৫ আগস্টের পর যারা মুছাপুরে ৩২টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে, তাদের এত সাহস কোথা থেকে আসে? এগুলো বিএনপির কেউ করেনি, এমনকি জামায়াতের কেউও করেনি। এই এলাকায় আর কেউ জিম্মি রাজনীতি করতে পারবে না।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি। ১/১১-র সময় বিএনপি চাইলেই ক্ষমতায় আসতে পারত, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সে পথে হাঁটেননি। বরং মাসের পর মাস জেলে থেকেছেন। ভবিষ্যতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবার নির্বাচনে অংশ নেবে এবং জনগণের রায়ে ক্ষমতায় ফিরবে।”
সরকারবিরোধী বক্তব্যে তিনি বলেন, “মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। আবার 'আপা আসতাছে' বলে নাটক করছে। আমাদের নেত্রী দেশ ছেড়ে পালাননি। পালানো রাজনীতি বিএনপি করে না।”
ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির পক্ষে মত দিয়ে আবুল কাউসার বলেন, “বিএনপি, এনসিপি সহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একত্র হতে হবে। পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছে, তারা ভুল করছে। দেশের মানুষ আর নাটকীয় ভোট চায় না।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মো. নূর হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আওলাদ হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইয়ানবী মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি নুরল আলীম মোল্লা, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে আবুল কাউসার আশা আরও বলেন, “এই মুছাপুরে এমনও একজন নেতা আছেন, যিনি প্রায় ২০০টির বেশি ছররা গুলির ক্ষত শরীরে নিয়ে আজও চলাফেরা করছেন। এটি প্রমাণ করে, মুছাপুরের বিএনপি কোনো অবস্থায় মাথা নত করেনি। বরং আজকের এই সমাবেশ থেকেই নতুন পথচলা শুরু হলো।”