১২ জুলাই ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ১১ জুলাই ২০২৫

গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে: শাহ আলম

গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে: শাহ আলম

নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের শ্রেণী চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি, কারণ বর্তমান সরকারও পুঁজিবাদী শাসক শ্রেণির প্রতিনিধি।”

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টায় আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্টু ঘোষ, জেলা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনাথ চক্রবর্তী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, ইকবাল হোসেন, আব্দুস সালাম বাবুল, সদস্য দুলাল সাহা, এম এ শাহীন, দিলীপ কুমার দাস প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ আলম বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল সাম্যবাদী ও গণতান্ত্রিক। কিন্তু পরবর্তীতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, এনজিওভিত্তিক সুশীল সমাজ ও প্রতিক্রিয়াশীল অংশগুলো রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে।”

তিনি বলেন, “মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে থাকতে চায় না। অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও, রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির মূল শোষণভিত্তিক চরিত্র অপরিবর্তিত থেকে গেছে।”

মোহাম্মদ শাহ আলম অভিযোগ করেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ না নিয়ে সময়ক্ষেপণ করে এমন কিছু এজেন্ডা সামনে এনেছে, যা আসলে মার্কিন প্রভাবাধীন আন্তর্জাতিক নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোর স্বার্থ রক্ষা করছে।”

তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি শাসক শ্রেণি এখন এমন কিছু ‘সংস্কার’ করতে চাইছে, যা তাদের পুঁজিবাদী শোষণের সুবিধা বজায় রাখে।”

বক্তব্যের এক পর্যায়ে শাহ আলম নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী বক্তব্য সামনে রেখে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত— ‘বিল্ড আপ দ্যা পার্টি, বিল্ড আপ দ্যা ফ্রন্ট, বিল্ড আপ দ্যা মুভমেন্ট।’ জনগণের সক্রিয় সমর্থনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়েই আমাদের অগ্রসর হতে হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়