১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৯:২৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পথ আটকে ওসমান পরিবারের গ্রেপ্তারের দাবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পথ আটকে ওসমান পরিবারের গ্রেপ্তারের দাবি

নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আটকে প্রভাবশালী ওসমান পরিবার ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারসহ সাত দাবি জানিয়েছে ছাত্র-জনতা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সামনে তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ, ওসমান পরিবার, বিভিন্ন দোসররা নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে। তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওসমানদের ব্যবসা-বাণিজ্য, সকস্ত সাম্রাজ্য কারা পরিচালনা করছে প্রশাসনের কাছে তথ্য আছে বলে আমরা জানি। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ দাবি জানান তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বাকি দাবিগুলো হলো- আন্দোলন পরবর্তী সময়ে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত অস্ত্র কাদের কাছে হস্তান্তর হয়েছে সেগুলোও উদ্ধার করতে হবে, আওয়ামী পুনর্বাসনে তদবির, বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, থানা ও কোর্ট রাজনৈতিক বলয়মুক্ত রাখতে হবে, গ্যাং কালচার-মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, বিদেশি এসাসিনসদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার, বর্ডারে সিকিউরিটি বাড়াতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ওসমান হাদিকে গুলির প্রধান অভিযুক্তকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবিগুলো বিষয়ে জেলা পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের দাবিগুলি খুবই যৌক্তিক। এগুলো যাতে তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য আমরা অলরেডি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি এবং কিছু পদক্ষেপের আমরা অলরেডি ডিক্লেয়ার করছি এবং এগুলি অবশ্যই যৌক্তিক দাবি।”

ওসমান হাদির জন্য দোয়া প্রার্থনা করে তিনি বলেন, “যদিও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু তার ব্যবহৃত হাতিয়ারটা উদ্ধার করা হইছে। ওর সাথে যে আরেকজন ছিল তাকে গ্রেপ্তার করেছি, তাকে রিমান্ডে নিয়েছি। বাকি কাজও আস্তে আস্তে আমরা করতে পারবো।”

এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা, সেইটা দেখার কোনো ব্যাপার নাই। তাদের সাথে সাথে আইনের আওতায় নিয়ে আসো। আইনের আওতায় না আনতে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়