আড়াইহাজারে কৃষি ইনস্টিটিউটে ৮ দাবিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আট দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
আড়াইহাজার উপজেলায় অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। আজ সকালে ২৪-২৫ সেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টার ও দুপুরে ২২-২৩ সেশনের ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। তবে, শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোরশেদ রেহেনা পারভীন বলেন, “আজ দুই পর্বের ৯৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ২৯ জন। বাকিরা পরীক্ষা বর্জন করেছে।”
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “সারাদেশের কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তার প্রেক্ষিতে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা নিজেদের আট দফা দাবি চূড়ান্ত করে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে। শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি ও আলোচনা সভা করে।”
এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে তারা পরীক্ষা বর্জনের মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবারও একই দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচিতে যাবেন বলেও জানান।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি হলো: ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডিএই অধীনস্থ থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে হবে, সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন দিতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদেরকে মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান করতে হবে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
অধ্যক্ষ মোরশেদ রেহেনা পারভীন বলেন, “কারিগরি বোর্ড থেকে আমাদের পরীক্ষা বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। কেননা, পরীক্ষা মিস করলে ছয়টা মাস তাদের নষ্ট হবে।”





































