জিয়া হলে বৃক্ষমেলা: ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় জিয়া হল প্রাঙ্গণে আড়াই মাস ধরে চলছে বৃক্ষমেলা। প্রতিদিনই এখানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফল, ফুল, সবজি ও বনসাই গাছ নিয়ে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মেলা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই শুধু গাছের সঙ্গে পরিচিত হতে এসেছেন। দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা ফাতেমা বেগম বলেন, “গাছ আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সময় পেলেই কন্যাদের নিয়ে নানা প্রজাতির গাছের সঙ্গে পরিচিত হতে আসি।”
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানসিম ভূঁইয়া নিলয় জানান, বাসার আঙিনায় ফুল ও সবজির পাশাপাশি বনসাই যুক্ত করতে বাবার সঙ্গে তিনি মেলায় এসেছেন।
গাছ বিক্রেতা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। তবে দর্শনার্থী বেশি। অনেকে গাছ না কিনলেও নাম জানতে চান, সেটাই আমাদের ভালো লাগে।”
আরেক বিক্রেতা মো. শুভ জানান, “প্রথম মাসে গাছ বিক্রির চাহিদা বেশি থাকলেও এখন তা কিছুটা কমে এসেছে। ফল-ফুলের গাছের তুলনায় বর্তমানে ইনডোর প্ল্যান্টের চাহিদা বেশি।”
দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “এখানে এসে নানা প্রজাতির গাছ দেখতে পাচ্ছি। ভালো জাতের গাছ পেলে কিনে নেব, আমার বাগানের জন্য। ইতিমধ্যেই আঙুর ও আপেলের গাছ আছে।”
ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল হান্নান শহরে এসেছিলেন গৃহস্থালি পণ্য কেনাকাটা করতে। যাবার পথে ঢোকেন জিয়া হল চত্বরে। ঘুরতে ঘুরতে কিনেও ফেলেছেন কয়েকটি গাছ।
হান্নান বলেন, বাজার করতে এসে তিনি মেলায় ঘুরে দেখেন। নতুন কিছু গাছ ভালো লাগায় ডায়াবেটিস গাছ, রাবার গাছ ও লাউ গাছ কিনেছেন। বাজারের সঙ্গে দু’টি গাছও নিয়ে যাচ্ছেন ছাদ বাগানের জন্য।
গত ২৯ জুন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়।