দুর্গাপূজা ঘিরে মার্কেটে কেনাকাটার ভিড়

নারায়ণগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শহরের মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাকে মুখরিত বিপণিবিতানগুলো। দরদামে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া সমবায় মার্কেট, লুৎফা টাওয়ার, জামান টাওয়ার, ডিআইটি মার্কেট, আজহার সুপার মার্কেট, হাওলাদার সুপার মার্কেট ও আলমাস পয়েন্টে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
ক্রেতাদের মধ্যে কেউ পুরো পরিবারের সদস্যদেরও সাথে নিয়ে এসেছেন। কারও কারও সঙ্গে শিশুদেরও দেখা গেছে। বাহারি রঙের জামা-কাপড় ও আনুসাঙ্গিক কসমেটিকসের দোকানগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি ছিল।
দিনের বেলায় ক্রেতাদের আনাগোনা একটু কম থাকলেও বিকেল গড়ালেই তা বেড়ে যায় বলে জানালেন বিক্রেতারা। এবারের পূজাকে সামনে রেখে দোকানে বাহারি মালামাল তোলার কথাও জানান।
পূজার কেনাকাটা করতে আসা শ্রী রামপ্রসাদ চন্দ্র দাস বলেন, “ছেলে-মেয়ে আর বউয়ের জন্য কেনাকাটা করলাম। প্রতি বছরের মতো এবারও জামা-কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।”
ব্যবসায়ী মো. শিশির জানান, “সকাল থেকে ক্রেতা কম থাকলেও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় বাড়ছে। আজ বৃষ্টির কারণে তেমন ক্রেতা আসেনি, তবে আগামী দুই-তিন দিনে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে।”
পূজায় নারীদের অন্যতম চাহিদা থাকে শাড়ির। মার্কেটে শাড়ি কিনতে আসা এমন এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। পলি সাহা নামে ওই নারী কথায় কথায় জানালেন, পূজোর কেনাকাটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে বাড়বে। তখন ভিড় বেড়ে যাবে, এমন শঙ্কা থেকেই একটু দ্রুত চলে এসেছেন তিনি।
“প্রতি বছরই নিজের ও পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করি। আজ মা আর বাচ্চাদের জন্য করেছি। এখন ভিড় তুলনামূলক কম থাকায় কেনাকাটা করতে ভালো লাগছে।”
শাড়ি বিক্রেতা শ্রীবাস চন্দ্র দাস বলেন, “তাঁতীদের সারা বছরের দাম প্রায় একই থাকে। তবে পূজার সময়ে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়। এ সময়েই মূলত তারা লাভ করে থাকেন।”
এদিকে শহরের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতেও ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমতো পোশাক কিনছেন।