নামের আগে ‘ডাক্তার’ না লেখার নির্দেশনার প্রতিবাদে
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের মানববন্ধন

জাতীয় সংসদে আইন পাস হওয়ার পরও মন্ত্রণালয় থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ না লেখার নির্দেশনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আশরাফুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্যাহ বেগ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আহাম্মদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইদ হাসান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. পারভীন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন” পাসের মাধ্যমে এ অধিকার আরও সুসংহত হয়। অথচ সেই আইনকে অমান্য করে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি জারি করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অনুরূপ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।
তারা আরও বলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩” এর অধীন নিবন্ধিত এবং এর তদারকি করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল। অন্যদিকে এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসকরা পরিচালিত হন বিএমডিসি আইন-২০১০ অনুযায়ী।
বক্তাদের দাবি, ২০২৩ সালের আইনের ২(১৩) উপধারায় বলা আছে, “হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। একইভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ১২ ধারায়ও চিকিৎসক হিসেবে এমবিবিএস, বিডিএস, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।