০২ জুলাই ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ১ জুলাই ২০২৫

মুকুলের উপর হামলা: আত্মগোপনে বজলু, দুইজন আটক 

মুকুলের উপর হামলা: আত্মগোপনে বজলু, দুইজন আটক 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলা ও জামাকাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলায় আসামি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বজলুর রহমান ওরফে ‘ডন বজলু’। বন্দরের পাশের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলু ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার অভিযান চালানোর কথাও জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাকে এখনও ধরা যায়নি।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয় গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

“তবে, এই মামলার এক নম্বর আসামি বজলুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে”, যোগ করেন ওসি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বন্দরের হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুকেন্দ্রের সামনে বজলুর রহমান ও তার অনুসারীদের লোকজনের হামলার শিকার হন দুই বছর আগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল।

৬৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিক বন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনি দল থেকে বহিষ্কার হন। তবে তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ঠিকাদারি কাজের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন মুকুল। গত ২ জুন দরপত্রের মাধ্যমে এ ঠিকাদারি কাজটি পায় এমএস দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজটি সম্পন্নের দায়িত্ব পান মুকুল। কিন্তু এমএস এন্টারপ্রাইজের কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন বজলুর ও তার লোকজন। চাঁদা না দিলে ঠিকাদারি কাজ করতে না দেবারও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগে বজলুর রহমান ও তার কয়েকজন অনুসারীদের অভিযুক্তও করা হয়।

এদিকে, রোববার হামলার শিকার হওয়ার পর আতাউর রহমান মুকুলও অভিযোগ করেন, চাঁদা না পেয়ে তার উপর হামলা করেছে বজলুর রহমান ও তার লোকজন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ জুন বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে ঠিকাদারি কাজ করতে বাধা দেবারও হুমকি দেয় তারা।

এ অভিযোগের পর রোববার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সামনে গিয়ে হামলার শিকার হন মুকুল। সেখানে তার গাড়ি থামার পরপরই একদল ব্যক্তি হামলা চালান। পরে গাড়ি থেকে তাকে টেনে-হিচড়ে বের করে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরনের পাঞ্জাবি ও পায়জামাও ছিঁড়ে ফেলে তাকে প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। তাকে মারধরের সময় ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে গালাগালিও করা হয়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়