১১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ২৮ জুন ২০২৪

‘জালালুদ্দিন রুমী: আন্তধর্ম দর্শন’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

‘জালালুদ্দিন রুমী: আন্তধর্ম দর্শন’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জেটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জালালুদ্দিন রুমী : আন্তধর্ম দর্শন’ শীর্ষক সেমিনার। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক, সংস্কৃতিজন রফিউর রাব্বি। জোটের দ্বি-বার্ষিক কর্মসূচির অধিনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল। সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন জাহিদুল হক দীপু ও রহমান সিদ্দিক।

রফিউর রাব্বি বলেন, নয়’শ বছর আগে রুমী ধর্মের অন্তর্নিহিত ঐক্যের যে কথা বলেছিলেন, শ্বাশত, সত্য ও সৌন্দর্যের উপলব্ধি ও বোধের যে উচ্চারণ করেছিলেন তা সমগ্র বিশ্বে এবং আমাদের সমাজে আজো প্রাসঙ্গিক। আর এজন্যই প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যে তিনি আজো সমধিক সমাদৃত, পঠিত ও চর্চিত। রুমী প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অসারত্ব তুলে ধরেছেন, জীবনের রহস্য-তাৎপর্য, স্রষ্টা ও সৃষ্টির অন্তর্গত সম্পর্কের শ্বাশত বানী উচ্চারণ করেছেন; যেখানে সৃষ্টির বাইরে স্রস্টার কোন অস্তিত্ব নেই, যেখানে মানুষ এবং ঈশ্বর এক ও অভিন্ন সত্তা। প্রবন্ধে তিনি বলেন, “জালালুদ্দিন রুমী ত্রয়োদশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী কবি। ফারসি ভাষায় রচিত গ্রন্থের মধ্যে সাধারণত চারটি গ্রন্থকে বিখ্যাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে, ফেরদৌসীর ‘শাহনামা’, শেখ শাদীর ‘গুলিস্তাঁ’, রুমীর ‘মসনবী’ এবং হাফিজ-এর ‘দিওয়ান’। এসবের মধ্যে রুমীর মসনবী সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল পঠিত গ্রন্থ। মসনবীকে ফারসি ভাষার কোরআন বলেও কেউ কেউ উল্লেখ করে থাকেন। মসনবীতে সুফী কাব্যের চূড়ান্ত বিকাশ ঘটেছে। এতে রয়েছে ধর্মের শিকড়, প্রকৃতি ও চিরন্তন জ্ঞানের রহস্য। রূপকে উপস্থাপিত ছয় খণ্ডের কাব্য মসনবী রচনায় রুমীর সময় লেগেছে দশ বছর।” 

সেমিনারটি উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্যদিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়