এমআরটি-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি
ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই নারায়ণগঞ্জকে ‘এমআরটি-২’ প্রকল্পে যুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী জননেতা তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে যান। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আবদুল বাকী মিয়ার কাছে নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-২ প্রকল্পে যুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে তরিকুল সুজন বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ভাগ্য আটকে আছে বি আর সি ক্যাটাগরিতে। জেলা ‘বি’ ক্যাটাগরি আর সিটি করপোরেশন ‘সি’ ক্যাটাগরি। এই বি,সি ক্যাটাগরির বাস্তবতা নিয়ে মেট্রোরেল আনতে হলে নারায়ণগঞ্জবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বৃথা যেতে পারে না। ফ্যাসিবাদের পতন হলেও নারায়ণগঞ্জের প্রতি অবহেলা- বঞ্চনা থেমে নেই। কোন অজুহাত কিংবা এমআরটি-৭ এর আশ্বাসে নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-২ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বিপুল জনগোষ্ঠী এবং শিল্প-বাণিজ্যের নগরকে পরিকল্পিত ও টেকসই করার জন্য মেট্রোরেল অপরিহার্য। যেকোন মূল্যে নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-২ প্রকল্পে যুক্ত করতেই হবে।”
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের দাবি প্রেক্ষিতে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে—নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি-২ প্রকল্পে পুনরায় যুক্ত করার জন্য তারা সার্বিক চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় এটা স্পষ্ট যে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেলের আওতায় আনা সম্ভব নয়। তাই নারায়ণগঞ্জের সকল অংশীজনকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশিদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ছাত্রনেত্রী ফারহানা মানিক মুনা।
