২০ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫:২০, ২০ আগস্ট ২০২৫

‘বিএনপি পরিবার’-এর পাশে মামুন মাহমুদ–মাসুদুজ্জামান

‘বিএনপি পরিবার’-এর পাশে মামুন মাহমুদ–মাসুদুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের পাশে দেখা যাচ্ছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং সাবেক যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। দলের দুর্দিনে যেসব ত্যাগী নেতা-কর্মী সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে যারা পারিবারিকভাবে দলের জন্য কাজ করছেন তাদের অনেকেই গণঅভ্যুত্থানের পর নেতাদের কাছে উপেক্ষিত থাকলেও মামুন মাহমুদ ও মাসুদুজ্জামান তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং দাঁড়াচ্ছেন রাজনৈতিক ভাবে পরিক্ষিত পরিবারগুলোর পাশে। রাজনৈতিক ভাবে নারায়ণগঞ্জে তাঁরা 'বিএনপি পরিবার' নামে খ্যাত। 

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে তারা বলেন, গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এ সরকারের টানা দেড় দশকের মেয়াদে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও বিরোধীমতের লোকজন হামলা, মামলা ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের। তবে এই সময়েও কেউ কেউ আওয়ামী লীগের জাঁদরেল নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে ঠিকই টিকেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করে তৃণমূলের যেসব ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা-কর্মী সক্রিয় ছিলেন মাঠে, তারাই আবার সরকার পতনের পর রয়ে গেছেন উপেক্ষিত।

তবে, তৃণমূলের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছেন মামুন মাহমুদ ও মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তারা দলটির দুঃসময়েও ছিলেন একই ভূমিকায়।

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই অধ্যাপককে গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে। তারপরও তিনি ছিলেন দলের প্রতি নিবেদিত। যার ফলস্বরূপ তিনি এখন জেলা বিএনপির শীর্ষ পদটিতে রয়েছেন।

অন্যদিকে, মডেল ডি ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান এক সময় যুবদলের রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। পরে ব্যবসায়ে মনোযোগ দিলেও তিনি দলের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন সবসময়। দলীয় নেতা-কর্মীদের অর্থ সহযোগিতা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা তিনি দিয়েছেন। গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের অর্থ সহযোগিতা করার কারণে তাকে ‘হিটলিস্টে’ রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ওই আন্দোলনে সরকারের পতন না হলে গ্রেপ্তারও হতে হতো এই শিল্পপতিকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির এখন সুদিন। কিন্তু এই সুদিনেও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কথা ভোলেননি মাসুদুজ্জামান।

বিএনপির প্রবীণ নেতা জামাল উদ্দিন কালু, রাশিদা জামাল, প্রয়াত যুবদল নেতা মমিনুল্লাহ ডেভিডের বোন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানার মা, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলামের ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম, প্রয়াত সাবেক শহর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের পাশে সবসময় থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়াও, মহানগর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, প্রবীণ নেতা নূর ইসলাম সরদারের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।

৫ আগস্টের পর অধ্যাপক মামুন মাহমুদও পৃথকভাবে বেশ কয়েকজন প্রয়াত নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি দলের কঠিন সময়ে অবদান রাখা প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ প্রয়াত জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম গাজী ইসমাইলের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম দেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তারা আহ্বান জানান, বিএনপির সংকটকালে যারা নিঃস্বার্থভাবে দলকে ভালোবেসেছেন, তাদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান ও সহযোগিতা করার জন্য।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়