আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: ডিসি

ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে রূপগঞ্জ উপজেলার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির, রাধা মাধব মন্দির ও ভোলাব কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, “উৎসব কখনো একা উদযাপন করা যায় না; সকলকে নিয়ে উদযাপন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের সম্প্রীতি এবং আমাদের সমাজের ঐক্যের প্রতীক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে উৎসব উদযাপন করি, একে অপরের খোঁজ-খবর রাখি- এটাই আমাদের সংস্কৃতি।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের উৎসব না হলে আমাদের সন্তানরা তা জানবে না এবং ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। আমরা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণের মাধ্যমে গর্বিত হতে চাই।”
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, জেলার ২২৪টি মণ্ডপ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পূজা মণ্ডপ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি সব দপ্তর প্রতিটি মণ্ডপে নজর রাখছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেগুফ্তা মেহনাজ, (নেজারত শাখা) মো. তারিকুল ইসলাম, জেলার আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন।
মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির কমিটির সভাপতি অভিনাশ দাস, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব দাস; রাধা মাধব মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাদল মোহন্ত, সেক্রেটারি পঙ্কজ দাস; ভোলাব কালীবাড়ি মন্দির পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বদল দাস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুভাস চন্দ্র দাস।