০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:০০, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৯:৩৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের পর ঘরে আগুন, দগ্ধ ৪

মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের পর ঘরে আগুন, দগ্ধ ৪

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের পর আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাদের।

এর আগে ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন: ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন (৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

তাঁদের মধ্যে আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান বলেন, ওই এলাকার আজিম উদ্দিনের ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে দগ্ধ চারজন ভাড়া থাকেন।

“ভোরে চার্জে লাগানো মুঠোফোনের চার্জার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।”

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, শুরুতে আগুনের বিষয়ে তাদের কেউ জানাননি। পরে খবর পেয়ে দুপুরে তাদের একটি দল বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন।

“পরিবারটি যে কক্ষে ভাড়া থাকতেন তার পাশেই ছোট রান্নাঘর। রান্নাঘরে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমা ছিল বলে ধারণা করছি।”

আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তার ভাই কাঁচপুর এলাকার অনন্ত গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে আলাউদ্দিন টয়লেট থেকে ঘরে কিছু বিস্ফোরিত হবার শব্দ পান। পরে তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় আগুন এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। ঘরের আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হন আলাউদ্দিনও

দগ্ধরা ভবনের নিচে নেমে কলাপসিবল গেটে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ পাওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতেও দেরি হয়। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলেও জানান সালমা।  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়