সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নতুন বাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সারাদেশ, আর তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। এই কম্পনে বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২৫টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নতুন বাজার এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আদমজী নতুন বাজার এলাকায় সায়েমের মালিকানাধীন চারতলা ভবনটি ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে পাশের একটি ভবনের উপর হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভূমিকম্প শুরু হলে আমরা দ্রুত ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। পরে দেখতে পাই সায়েমের মালিকানাধীন চারতলা ভবনটি পাশের ভবনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
তবে হেলে যাওয়া ভবনের মালিক সায়েমের বোন সিফা জানান, ভূমিকম্পের কারণে নয়, বরং সিটি করর্পোরেশনের ড্রেন নির্মাণের ফলেই তাদের বাড়িটি আগেই হেলে ছিল।
এদিকে, নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা সুজন নামে এক ব্যক্তি তার উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কী হবে? এই হেলে পড়া ভবনটির এখন কোনো ব্যবস্থা না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, আবাসিক ভবনসহ প্রায় ২৫টিরও বেশি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং কিছু ভবন হেলে পড়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক মো: রায়হান কবির বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখে এখন পর্যন্ত ২৫টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তবে যেই ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যেকোনো বড় বিপর্যয় এড়াতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।





































