রূপগঞ্জে তর্কের জেরে পিস্তল বের করে তোপের মুখে

রূপগঞ্জের একটি মাদ্রাসার মসজিদে জামাতের প্রথম সারিতে বসা নিয়ে তর্কের জেরে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়-ভীতি ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করা হলে অস্ত্রটি হেফাজতে নেয় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে ফজরের নামাজের পর উপজেলার বাড়িয়াছনি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
বাড়িয়াছনির বাবুস সালাম মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, হারুন অর রশিদ প্রভাব খাটিয়ে মুসুল্লিদের সরিয়ে নামাজের সামনের কাতারে বসতেন। এছাড়াও ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে হারুন অর রশিদ ফজরের নামাজের পর ছাত্রদের সাথে বিতর্কের জেরে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখান। এ সময় ধস্তাধস্তি এক শিক্ষার্থী আঘাত পান।
স্থানীয় মুসুল্লি সিরাজ মিয়া বলেন, হারুন অর রশিদ বাড়িয়া ছনি এলাকায় জমি কিনে বসবাস করছেন। তার সাথে যে কেউ তর্ক জড়ালেই তিনি অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হারুন উর রশিদ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে হারুন উর রশিদ বলেন, “আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী আর আমি হাম্বলী তরিকার। তাই ইসলামী মাসআলা নিয়ে তর্ক হয়। এতদিন সামনের কাতারেই বসতাম, আজ ভোরে নামাজ পড়তে গেলে তারা ব্লক করে সামনের কাতারে দাঁড়ায়। এতে আমি অপমানিত হই। পরবর্তীতে তর্কের জেরে দল বেঁধে আমাকে হামলা করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও হেনস্থা করা হলে আমি আমার লাইসেন্স করা পিস্তলটি দেখাই। আমার কাউকে আঘাত করা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। পরে থানা পুলিশ এসে পিস্তলটি নিয়ে যায়। আমাকে পরে লাইসেন্স দেখিয়ে সেটি নিয়ে আসতে বলেছেন।”
রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “সকালের অবসরপ্রাপ্ত মেজর হারুন অর রশিদ ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানান, ধস্তাধস্তিতে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র পড়ে গেছে। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করি। এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।”