০৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ:

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ফতুল্লায় বাউল শিল্পী অনিকার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

ফতুল্লায় বাউল শিল্পী অনিকার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাউল শিল্পী আনিকা আক্তার অনিকা (১৯)-এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে অনিকাকে হত্যা করেছে তার স্বামী হাবিবুর রহমান (২৫)।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্বামী হাবিবুর রহমান অনিকার মৃতদেহ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে যায়। পরে পুলিশ অনিকার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং হাবিবুর রহমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

নিহত অনিকা মাদারীপুর জেলার মোস্তফাকুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি স্বামীকে নিয়ে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় মাস্টারের বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

অভিযোগে অনিকার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাঁচ বছর আগে হাবিবুর রহমান প্রেমের সম্পর্ক থেকে অনিকাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলেই হাবিবুর নতুন করে আবার বিয়ে করতেন। এভাবে তিনি অনিকার আগে আরও চারটি বিয়ে করেন। চার মাস আগে অনিকার একটি কন্যা সন্তান হয়।

তিনি আরও বলেন, সারারাত বাউল ক্লাবে গান গেয়ে যে টাকা অনিকা আয় করতেন, হাবিবুর বাসায় এসে জোর করে ছিনিয়ে নিত। সম্প্রতি আরেক বাউল শিল্পী মালাকে বিয়ে করেন হাবিবুর। বিষয়টি নিয়ে অনিকা প্রতিবাদ করলে হাবিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তালাকের নোটিশ পাঠায়। এছাড়া, স্বর্ণা নামে এক নারী বাউল শিল্পীকে দিয়ে অনিকার ওপর হামলাও চালানো হয়। ওই ঘটনায় অনিকা আহত হয়ে চিকিৎসা নেন।

অনিকাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মৃতদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

অন্যদিকে আটক হাবিবুর রহমান দাবি করেন, তিনি অনিকাকে হত্যা করেননি। চাঁদপুর থেকে এসে বাসার দরজা ভেঙে ঢুকে তিনি অনিকাকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়