লাখো পুণ্যার্থীদের অংশগ্রহণে শেষ হলো লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে দুইদিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পূণ্য স্নানোৎসব শেষ হয়েছে৷ সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত স্নানোৎসবের তিথি চলে৷ এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দেশ-বিদেশের লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নামে৷
এদিকে, স্নান উপলক্ষে তিনস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর৷ তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসানো ছিল সিসি ক্যামেরা৷
স্মানোৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশসহ দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে মায়ের সাথে স্নান করতে নেমে পানিতে ডুবে রাজদ্বীপ নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশু মারা করেছে।
লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল ৪ টা-২০ মিনিটে স্মানোৎসবের লগ্ন শুরু হয়। চলে মঙ্গলবার ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্নানোৎসবে মেতে উঠেছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা।
আয়োজকরা জানান, মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নেন। লগ্ন শুরুর পরপরই পুণ্যার্থীর ঢল নামে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চলবে স্নানোৎসব৷
লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি সরোজ সাহা জানান, স্নানোৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পুণ্যার্থীরা আসছেন। এবার ১০ থেকে ১২ লাখ পুণ্যার্থী স্নানোৎসবে অংশ নেন। নারীদের কাপড় বদলানোর জায়গা ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানিসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ১৯টি ঘাটের মাধ্যমে পুণ্যার্থীরা স্নান সম্পন্ন করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল বলেন, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৫০টির অধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলার ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদে নৌ-পুলিশ কাজ করেছে।