২৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ইলা মিত্রের স্মরণে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আলোচনা সভা

ইলা মিত্রের স্মরণে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আলোচনা সভা

তেভাগা আন্দোলন, নারীর অধিকার আন্দোলন ও সাঁওতাল-আদিবাসী মুক্তিসংগ্রামের কিংবদন্তি নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫) বিকেল ৪টায় শহরের বাসদ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মিমি পূজা দাস, সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ইলা মিত্র এক কিংবদন্তির নাম। তিনি গরিব-দুঃখী সাঁওতাল কৃষকদের শোষণ ও অত্যাচার থেকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন। তেভাগা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে কৃষকদের দাবি আদায়ের সংগ্রামে ছিলেন অগ্রণী। নাচোলে তাঁকে সবাই ‘রানিমা’ নামে ডাকত। তিনি সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।”

সভায় বক্তারা বলেন, “ইলা মিত্রের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় সংগ্রামের গল্পে ভরা। নারী অধিকার ও শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন অনন্য। আজ যখন দেশে নারী নির্যাতন, বৈষম্য ও অনিরাপত্তা বাড়ছে, তখন ইলা মিত্রের জীবনদর্শন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শ ধারণ করে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে নারী-পুরুষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

ইলা মিত্র ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে। তিনি তরুণ বয়সে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতিতে যোগ দেন এবং ১৯৪৫ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য রমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে বিবাহের সূত্রে নাচোলে বসবাস শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৫০ সালে গ্রেফতার হয়ে নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫৪ সালে প্যারোলে মুক্তি পান এবং ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

সভায় বক্তারা তাঁর সংগ্রামী জীবনের ওপর আলো ফেলে বলেন, “ইলা মিত্র কেবল একজন নারী নেত্রী নন, তিনি ছিলেন শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতিবাদের প্রতীক।”
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়