ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় একসাথে কাজ করার আহ্বান মাসুদুজ্জামানের
ধর্মীয় সম্প্রীতির চিরায়ত ঐতিহ্যকে তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, “আমাদের অতীত ইতিহাস শত শত বছরের। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান সবাই মিলেমিশে বসবাস করছি। এটি নারায়ণগঞ্জের সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে যুগে যুগে আরও বৃদ্ধি করছে।”
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কালীরবাজারে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “আমরা এই বাংলাদেশে বসবাস করি, যেখানে নানা জাতি, ধর্ম ও মতের মানুষ একসাথে বাস করে। মতাদর্শে পার্থক্য থাকলেও দিনের শেষে আমরা একই ছাতার নিচে বসবাস করি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হোক। আমরা একে অপরের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করবো। আপনার যে সমস্যায় ভুগছেন, সেটি আমারও সমস্যা, এই অনুভূতি নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। আমাদের অভাব-অনটন থাকতে পারে, কিন্তু ভালোবাসায় যেন কোনো অভাব না থাকে।”
বিএনপি নেতা মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই আমাদের পরিচয়। ধর্মীয় উৎসব এলেই আমরা সবাই এক হয়ে যাই। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা করুক, কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ ভাই-বোন, মা-ছেলের মতো একসাথে চলতে চাই — সেটাই আমাদের ইচ্ছা।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের জাতীয়তাবাদী দল বিশ্বাস করে সম্প্রীতি রক্ষায়। বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সব ধর্মের অধিকার ও মতের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিশ্বাস করেন — আমরা এক জাতি, সবার আগে বাংলাদেশ। দেশের স্বার্থে আমরা কোনো আপস করব না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাদ্রি চার্লস সৌমিত্র দেওরি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যালবার্ট পি. কস্তা, স্থপতি ও পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ডালিম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মডেল গ্রুপের পরিচালক শামীম আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন সরদারসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।





































