‘এখানে কিছু এজেন্ট আছে’ পূজার প্রস্তুতি সভায় মাঈনুদ্দিন

জামায়তে ইসলামী মহানগর সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেছেন, “যারা আগে দেশ শাসন করেছিল তারা বাংলাদেশের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে হিন্দুদের দখলে নিয়ে রেখেছিল। দখল করে তারা সবসময় হিন্দু আর জামায়াত-বিএনপিকে মুখোমুখি করে, প্রতিদ্বন্দ্বী করে রাখতে চেয়েছিল। হিন্দুদের অযথা নিজেরা নিজেরা কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দুর্নাম বিএনপি-জামায়তের উপর চাপিয়ে দিতো। গত ৫ আগষ্টে তারা পালানোর কারণে বিএনপি, জামায়াত নিরাপদে আছে।”
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “তারা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী একটি দেশ আমাদের দেশে কীভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায়, কখন করা যায়, এ জন্য ভালো সময় তারা খুঁজছে। পূজার সময়টা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার একটা মূখ্য সময়। আমাদের হিন্দুরা তাদের সাথে থাকতে থাকতে মিল-মহব্বত হয়েছে। পলাতক আসামিরা ওইখানে বসে বসে ষড়যন্ত্র করছে। এখানে তাদের কিছু এজেন্ট আছে।”
মাওলানা মাঈনুদ্দিন বলেন, “আল্লাহ মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন করে বানিয়েছেন। মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যেও ভিন্নতা আছে। তাই হিন্দুদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে না দেয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ সবসময় চেয়েছে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। বাংলাদেশ সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল। তার অন্যতম জায়গা নারায়ণগঞ্জ। নৈতিকতার অভাবে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। প্রশাসনকে এগুলো বিষয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে।”
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূরে কুতুবুল আলম, সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামী মহানগরের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল-আমিন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, জেলা সংগঠক আহমেদুর রহমান তনু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, পূঁজা উদযাপন ফ্রন্ট জেলার আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার সাহা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব জাবেদ আলম প্রমুখ।