০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:২৬, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাংবাদিককে মারধরে বহিষ্কৃত ইকবালকে দলে ফেরানোর তোড়জোড়

সাংবাদিককে মারধরে বহিষ্কৃত ইকবালকে দলে ফেরানোর তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গবেষক মিনহাজ আমানকে মারধরের অভিযোগে বহিষ্কৃত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের তোড়জোড় চলছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ইকবাল কেন্দ্রে লবিং করছেন।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ইকবাল হোসেনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। সে সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “দলীয় নীতি ও আদর্শের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করার ভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।”

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে চলাচল করা আসিয়ান পরিবহণের একটি বাসে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ইকবালের। পরে বাসটি নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় গেলে ইকবালের অনুসারীরা বাসচালককে মারধর ও বাসে ভাঙচুর চালায়। সাংবাদিক মিনহাজ আমান বাস ভাঙার প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন ইকবালের অনুসারীরা।

পরে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলে বিএনপি ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

কিন্তু বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা-তদবিরের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যেও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধ করা একজন ব্যক্তিকে দলে ফিরিয়ে নিলে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন তারা।

তবে সমালোচনা চলছে দলের বাইরেও। ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকের মন্তব্য, দলীয় শাস্তি কি তবে কেবলমাত্র ‘আইওয়াশ’? এমনটা বাস্তবিকভাবে হলে দলীয় পরিচয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়বে বলেও শঙ্কা তাদের।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়