ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি: সাখাওয়াত

“বাংলাদেশ ধর্মীয় সংস্কৃতির লীলাভূমি। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি এই জাতির গর্ব।” বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে চাষাড়ার রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কখনো দেখিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করে। একজন ভালো মানুষ কখনোই তা করতে পারে না।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন—আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকতে হবে। তাদের অনুষ্ঠানগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমাদের সংশ্লিষ্টতায় তাদের কোনো সমস্যা না হয়। যে কোনো প্রয়োজনে যেন আমাদের জানানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সব ধর্মের মানুষের দল। এখানে মুসলমানের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই সদস্য হতে পারে। ধর্মীয় বিষয়ে বিএনপির কোনো বৈষম্য নেই। আমাদের চলমান নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে যে কেউ যুক্ত হতে পারেন, তবে খারাপ প্রকৃতির লোক বা অন্য দলের অনৈতিক কর্মসূচিতে জড়িতরা নয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, সাবেক ট্রাস্টি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিতোষ কান্তি সাহা, উপদেষ্টা বাসুদেব চক্রবর্তী, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী পূর্ণ স্নান উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী তাপস কর্মকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণপদ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস।
সভায় জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।