০২ আগস্ট ২০২৫

প্রকাশিত: ২১:৩০, ৮ নভেম্বর ২০১৭

আপডেট: ২১:৪৯, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের নারায়ণগঞ্জ

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমাদের নারায়ণগঞ্জ

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ১৮৯৬ সালে মির্জাপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার এবং মায়ের নাম কুমুদিনী দেবী। প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সেগুলো নিজের ও পরিবারের কাজে ব্যয় করেননি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য দান করে যান।

তিনি মির্জাপুরে সেবার জন্য প্রথমে গড়ে তোলেন কুমুদিনী হাসপাতাল। এরপর নারী শিক্ষার জন্য ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং স্কুল, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ, টাঙ্গাইল কুমুদিনী মহিলা কলেজ, মির্জাপুর মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে এটি মির্জাপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মির্জাপুর এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমান নাম মির্জাপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়) ও মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ কুমুদিনী ওয়েলফেযার ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নামে নামকরণ করা হয়। ২০১৪ সালের ৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জের প্রথম এবং একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে শহরের শীতলক্ষ্যায় ২৫ নং সুলতান গিয়াসউদ্দিন রোডে যাত্রা শুরু হয়। ইউজিসি থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত দেশের ৭৯ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম । নিজস্ব ক্যাম্পাস নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গ্রীন ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ক্যাম্পাস এর নিজস্ব সৌন্দর্য্য সত্যিকার অর্থে নজর কাড়ার মত। এই প্রতিষ্ঠানে যেসব বিভাগ এখন পর্যন্ত অনুমোদিত, তা হল ; বিবিএ, সিএসই, ইইই, ফার্মেসি, ইংলিশ এবং এলএলবি। এই সমস্ত বিভাগে এখন পর্যন্ত ১১টি সেমিস্টারে প্রায় ৬০০ এর  বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং তাদের পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত হয়ে ওঠে এই গ্রিন ক্যাম্পাস। সিএসই, ইইই, ফার্মেসি প্রতিটি বিভাগের আছে নিজস্ব ল্যাব রুম, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করছে।

শুধু পড়ালেখাই নয় অতিরিক্ত কারিকুলাম কর্মকাণ্ডেও পিছিয়ে নেই এই প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সময়ে নানা রকম অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের সব ধরনের প্রতিভার প্রমাণ দেন এবং ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্পোর্টস ক্লাব।

কিছুদিন আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় এর সম্মানিত ভিসি স্যার মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হয় এবং সেই সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ বৈধতা পায় । শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে আন্তরিকতার বন্ধন এবং সবার আন্তরিক সহযোগিতায় দিন-দিন এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন পূরণ এর দিকে, এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেই সাথে নারায়ণগঞ্জবাসীর শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, নারায়নগঞ্জ জেলাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সফল হতে পারলে হয়ত সেটা আমাদের নারায়নগঞ্জবাসী সহ দেশের মানুষের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।

সিফাত হাসান সুমাইয়া

সর্বশেষ

জনপ্রিয়